আমাদের সম্পর্কে

‘রক্তের বন্ধনে মীরসরাই’ চট্টগ্রামের মীরসরাই এর অন্যতম একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। রক্তের বন্ধনে মীরসরাই এর যাত্রা শুরু হয় ২০১৪ সালে এবং আনুষ্ঠানিক ভাবে যাত্রা শুরু হয় ১০ই এপ্রিল ২০১৫ সালে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে 'সৃষ্টি মানব ও মানবতার কল্যাণে' স্লোগানকে সামনে রেখে স্বেচ্ছায় রক্তদান, সামাজিক সচেতনতামূলক কর্মসূচী, স্বেচ্ছায় রক্তদাতা তৈরী, বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ও থ্যালাসেমিয়া রোগ সম্পর্কে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো, বিনামূল্যে অক্সিজেন সহায়তা প্রদান, ত্রাণ ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, শীতবস্ত্র বিতরণ, ইফতার সামগ্রী বিতরণ, ইদ উপহার বিতরণ সহ নানা ধরণের সামাজিক ও মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে । বর্তমানে ‘রক্তের বন্ধনে মীরসরাই’ তে ৭০ জন অধিক স্বেচ্ছাসেবক রয়েছেন, যারা প্রতিনিয়ত সমাজ ও দেশের স্বার্থে নিঃস্বার্থভাবে মানবিক ও সামাজিক কাজ করে যাচ্ছেন।

বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা প্রদান

বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা প্রদান

বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচি

বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচি

সিলেটে বন্যার্তদের পাশে রক্তের বন্ধনে মীরসরাই

সিলেটে বন্যার্তদের পাশে রক্তের বন্ধনে মীরসরাই

রমাদ্বান প্রজেক্ট

ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচি

নোটিশ

আপনার রক্তদানের তথ্য আপডেট করুন | পাসওয়ার্ড রিসেট করুন...বিস্তারিত

১৫-১১-২০২৩

আসন্ন কর্মসূচী/কর্মকান্ড

পুনর্বাসন প্রকল্প ... বিস্তারিত

২৮-০৮-২০২৪ ১০:০০ পূর্বাহ্ন Mirsarai Upazila

রমাদ্বান প্রজেক্ট-২৪ ... বিস্তারিত

১৫-০৩-২০২৪ ১০:০০ পূর্বাহ্ন Rokter Bondhone Mirsarai

*রক্তদানের মাধ্যমে নিজেকে সুস্থ রাখার স্পৃহা জন্মে।

*নিয়মিত রক্তদাতার রক্তে কোলেস্টরলের মাত্রা কমে যায়, তাই হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেক কম থাকে। রক্তদান স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কারণ রক্তদান করার সঙ্গে সঙ্গে আপনার শরীরে মধ্যে অবস্থিত "বোন ম্যারো" নতুন কণিকা তৈরির জন্য উদ্দীপ্ত হয়। বছরে ৩-৪ বার রক্তদানকারীর শরীরে লোহিত কণিকাগুলোর প্রাণবন্ততা বাড়িয়ে দেয়।

*নিয়মিত স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে রক্তদাতা বিনা খরচে জানতে পারে শরীরে রক্ত প্রবাহিত কোনো রোগ আছে কিনা? রক্তদান ধর্মীয় দিক থেকে অত্যন্ত পূণ্যের বা সওয়াবের কাজ। পবিত্র কুরআন এর সূরা মায়িদা'র ৩২ নং আয়াতে আছে “একজন মানুষের জীবন বাঁচানো সমগ্র মানব জাতির জীবন বাঁচানোর মত মহান কাজ। "

*আপনার দানকৃত রক্ত একজন মানুষের জীবন বাঁচাবে।
আপনি, আপনার জীবনসঙ্গী উভয়ই অজান্তে থ্যালাসেমিয়া বাহক হলে, পরবর্তী প্রজন্মে কি ঘটতে পারে!

থ্যালাসেমিয়া! বেশ পরিচিত একটা রোগ। আমাদের আশেপাশে এমনকিছু শিশু থাকে যাদের কিছু সময় পর পর ব্লাড নেওয়া লাগে। রোগটা সম্পর্কে সাধারণ তথ্যগুলো আমরা কমবেশি সবাই জানি। তাও প্রাথমিক কিছু কথাবার্তা তো না লিখলেই নয়!

থ্যালাসেমিয়া হলো উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত রক্তের একটি রোগ, যার কারণে শরীরে স্বাভাবিকের চেয়ে কম হিমোগ্লোবিন সৃষ্টি হয়। আর হিমোগ্লোবিন লাল রক্তকণিকাকে অক্সিজেন বহন করতে সাহায্য করে, তা তো আমরা জানি। তাই থ্যালাসেমিয়া যার আছে, তার সহজেই অ্যানিমিয়া হতে পারে। থ্যালাসেমিয়া অনেক রকমের হয়ে থাকে। প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় ১ লক্ষ শিশু থ্যালাসেমিয়া নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। এটি স্বল্প উন্নত দেশ যেমন নেপাল,বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে বেশি দেখা যায়। সাধারণ কথাবার্তা তো শেষ, তবে আজকে আমরা মূল যে বিষয়ে কথা বলবো তা হল- বাবা-মা উভয়ই যদি থ্যালাসেমিয়া বাহক বা থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত হন , তাহলে পরবর্তীতে তাদের সন্তানের মধ্যে কেমন প্রভাব পরতে পারে!

বিষয়টা জানার আগে আমাদের জানতে হবে থ্যালাসেমিয়ার কারণগুলো সম্পর্কে। থ্যালাসেমিয়া কোষের ডিএনএ-তে মিউটেশনের কারণে ঘটে যা হিমোগ্লোবিন তৈরি করে। থ্যালাসেমিয়ার সাথে সম্পর্কিত মিউটেশনগুলি পিতামাতার কাছ থেকে শিশুদের মধ্যে প্রেরিত হয়। হিমোগ্লোবিন অণুগুলি আলফা এবং বিটা চেইন নামক চেইন দিয়ে তৈরি, যা মিউটেশন দ্বারা প্রভাবিত হয়েই মূলত থ্যালাসেমিয়ায় সৃষ্টি হয়।

জিন আসে জোড়ায় জোড়ায়। আমরা মায়ের কাছ থেকে ১ সেট এবং বাবার কাছ থেকে ১ সেট জিন পেয়ে থাকি।প্রধান ধরনের থ্যালাসেমিয়া, অর্থাৎ বিটা থ্যালাসেমিয়া নিয়ে জন্মগ্রহণ করার জন্য, একটি শিশুকে তাদের পিতামাতার উভয়ের কাছ থেকে ত্রুটিপূর্ণ বিটা থ্যালাসেমিয়া জিনের একটি করে অনুলিপি পেতে হবে। এটি সাধারণত ঘটে যখন পিতামাতা উভয়ই ত্রুটিপূর্ণ জিনের বাহক হয় বা থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হয়। আরেক ধরনের থ্যালাসেমিয়া হল আলফা থ্যালাসেমিয়া, এটি আরও জটিল কারণ এতে ৪টি সম্ভাব্য ত্রুটিপূর্ণ জিন জড়িত। আলফা থ্যালাসেমিয়া বৈশিষ্ট্যের বাহক পিতা-মাতার সন্তানরা থ্যালসেমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে জন্মগ্রহণ করবে যদি তারা ত্রুটিপূর্ণ জিনের ৩ বা ৪টি কপি পায়। যে শিশুরা ১ বা ২ কপি পাবে, তারা বাহক হবে।

থ্যালাসেমিয়া বাহকদের নিজেদের থ্যালাসেমিয়া হয় না, তবে তাদের সঙ্গীও বাহক হলে তাদের থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি বাবা-মা উভয়েরই থ্যালাসেমিয়ার বৈশিষ্ট্য থাকে, তাহলে ৫০% সন্তান থ্যালাসেমিয়া বাহক, ২৫% সন্তান সম্পূর্ণ সুস্থ এবং ২৫% সন্তান থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে জন্মগ্রহণ করার সম্ভবনা রয়েছে। আরও সহজভাবে বলতে গেলে ৪ সন্তানের মধ্যে ২ সন্তান বাহক, ১ সন্তান সুস্থ এবং ১ সন্তান থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে জন্মগ্রহণ করার সম্ভবনা রয়েছে। তাহলে এখন উপায় কী?

বিয়ের আগে থ্যালাসেমিয়ার জন্য একটি সাধারণ রক্ত ​​পরীক্ষার মাধ্যমে বাহক কিনা তা জানা যায়। যদি আপনি এবং আপনার জীবনসঙ্গী উভয়ই বাহক হন, তাইলে দুজনে বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। দুই, বিয়েও করবেন এবং সন্তান নেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তাইলে গর্ভাবস্থার প্রথম ১২ সপ্তাহের মধ্যে অ্যামনিওসেন্টেসিস নামক একটি পরীক্ষা করিয়ে দেখতে পারেন যে শিশুটি থ্যালাসেমিয়া দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে কিনা। এক্ষেত্রে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত হলে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে নৈতিক দিকটাও বিবেচনা করতে হতে পারে। সবচেয়ে ভালো হয় দুইজনেই বাহক, এমন অবস্থায় বিয়ে না করা, এতে আপনার সন্তান থ্যালাসেমিয়ার মতো অভিশপ্ত একটা রোগ থেকে মুক্তির সম্ভবনা অনেকাংশেই বেড়ে যাবে। শেষ কথা, রোগটা সম্পর্কে সচেতনতা সবচেয়ে বেশি দরকার।
*১৮-৫৭ বছরের সুস্থ ব্যাক্তি চার মাস পরপর রক্তদান করতে পারবেন।

*ওজন- ১০০ পাউন্ড বা ৫০ কেজির উর্ধ্বে। তবে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে (অনুচক্রিকা,রক্তরস) ওজন ৫৫ কেজি বা তার উর্ধ্বে।

*রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকলে, রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ ৭৫% বা তার উর্ধ্বে থাকলে রক্তদান করা যাবে।

*একজন সুস্থ সবল মানুষের জন্য নিয়মিত রক্তদানের পূর্বশর্ত হল "সদিচ্ছা"।

*জ্বর, সর্দি-কাশি ইত্যাদি থেকে সুস্থ হবার কমপক্ষে ১ সপ্তাহ পর রক্তদান করা যাবে।

*বিগত ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে যদি আপনার বড় কোন অপারেশন না হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে রক্তদান করা যাবে। নারীর ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় এবং মেয়েলি সমস্যা চলাকালীন সময়ে রক্তদান করতে পারবে না।

*স্বাস্থ্য ঠিক থাকলে পুরুষরা বছরে সর্বোচ্চ ৪ বার এবং নরীরা বছরে সর্বোচ্চ ৩ বার রক্তদান করতে পারবে। রক্তবাহিত রোগ (ম্যালেরিয়া, সিফিলিস, জন্ডিস, মৃগীরোগ, গনোরিয়া, হেপাটাইটিস, এইডস, চর্মরোগ, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, টাইফয়েড এবং বাতজ্বর) না থাকলে রক্তদান করতে পারবে।

*কোনো প্রকার টিকা গ্রহণ করলে ২৮ দিন পর এবং এন্টিবায়োটিক ঔষুধ সেবন করার ৭ দিন পর রক্তদান করা যাবে।
Page Group YouTube

সবার আগে সব আপডেট জানতে ই-মেইল এড্রেস দিয়ে সাবসক্রাইব করুন।